.--- layout: page ---
“শমরীয় স্ত্রীলোক ১ যীশু যে যোহনের চেয়ে অনেক বেশী শিষ্য করছেন এবং বাপ্তিস্ম দিচ্ছেন তা ফরীশীরা শুনেছিলেন। ২ (অবশ্য যীশু নিজে বাপ্তিস্ম দিচ্ছিলেন না, তাঁর শিষ্যেরাই দিচ্ছিলেন।) ৩ যীশু তা জানতে পেরে যিহূদিয়া প্রদেশ ছেড়ে আবার গালীলে চলে গেলেন। ৪ গালীলে যাবার সময় তাঁকে শমরিয়া প্রদেশের মধ্য দিয়ে যেতে হল। ৫ তিনি শুখর নামে শমরিয়ার একটা গ্রামে আসলেন। যাকোব তাঁর ছেলে যোষেফকে যে জমি দান করেছিলেন এই গ্রামটা ছিল তারই কাছে। ৬ সেই জায়গায় যাকোবের কূয়া ছিল। পথে হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যীশু সেই কূয়ার পাশে বসলেন।তখন বেলা প্রায় দুপুর।”
“৭,৮ যীশুর শিষ্যেরা খাবার কিনতে গ্রামে গেছেন; এমন সময় শমরিয়ার একজন স্ত্রীলোক জল তুলতে আসল। যীশু তাকে বললেন, “আমাকে একটু জল খেতে দাও।” ৯ সেই শমরীয় স্ত্রীলোকটি তাঁকে বলল, “আমি তো শমরীয় স্ত্রীলোক। আপনি যিহূদী হয়ে কেমন করে আমার কাছে জল চাইছেন?” স্ত্রীলোকটি এই কথা বলল কারণ যিহূদী এবং শমরীয়দের মধ্যে ধরা-ছোঁয়ার বাছ-বিচার ছিল।”
“১০ যীশু সেই স্ত্রীলোকটিকে উত্তর দিলেন, “তুমি যদি জানতে ঈশ্বরের দান কি আর কে তোমার কাছে জল চাইছেন তবে তুমিই তাঁর কাছে জল চাইতে আর তিনি তোমাকে জীবন্ত জল দিতেন।” ১১ স্ত্রীলোকটি বলল, “কিন্তু আপনার কাছে জল তুলবার কিছুই নেই আর কূয়াটাও গভীর। তবে সেই জীবন্ত জল কোথা থেকে পেলেন? ১২ আপনি আমাদের পূর্বপুরুষ যাকোবের চেয়ে তো বড় নন। এই কূয়া তিনিই আমাদের দিয়েছেন। তিনি নিজে ও তাঁর ছেলেরা এই কূয়ার জলই খেতেন আর তাঁর পশুপালও খেত।”
“১৩ তখন যীশু বললেন, “যে কেউ এই জল খায় তার আবার পিপাসা পাবে। ১৪ কিন্তু আমি যে জল দেব, যে তা খাবে তার আর কখনও পিপাসা পাবে না। সেই জল তার অন্তরের মধ্যে উথলে-ওঠা ফোয়ারার মত হয়ে অনন্ত জীবন দান করবে।” ১৫ এতে স্ত্রীলোকটি যীশুকে বলল, “আমাকে তবে সেই জল দিন যেন আমার পিপাসা না পায় আর জল তুলতে এখানে আসতে না হয়।” ১৬ যীশু তাকে বললেন, “তবে যাও, তোমার স্বামীকে এখানে ডেকে আন।” ১৭ স্ত্রীলোকটি বলল, “কিন্তু আমার স্বামী নেই।”
“১৮ যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিকই বলেছ তোমার স্বামী নেই, কারণ এর মধ্যেই তোমার পাঁচজন স্বামী হয়ে গেছে, আর এখন যে তোমার সংগে আছে সে তোমার স্বামী নয়। তুমি সত্যি কথাই বলেছ।” ১৯ তখন স্ত্রীলোকটি যীশুকে বলল, “আমি এখন বুঝতে পারলাম আপনি একজন নবী। ২০ আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই পাহাড়ে উপাসনা করতেন, কিন্তু আপনারা বলে থাকেন যিরূশালেমেই লোকদের উপাসনা করা উচিত।” ২১ যীশু তাঁকে বললেন, “শোন, আমার কথায় বিশ্বাস কর, এমন সময় আসছে যখন পিতা ঈশ্বরের উপাসনা তোমরা এই পাহাড়েও করবে না, যিরূশালেমেও করবে না।
“২২ তোমরা যা জান না তার উপাসনা করে থাক, কিন্তু আমরা যা জানি তারই উপাসনা করি, কারণ পাপ থেকে উদ্ধার পাবার উপায় যিহূদীদের মধ্য দিয়েই এসেছে। ২৩ কিন্তু এমন সময় আসছে, এমন কি, এখনই সেই সময় এসে গেছে যখন আসল উপাসনাকারীরা আত্মায় ও সত্যে পিতার উপাসনা করবে। পিতাও এই রকম উপাসনাকারীদেরই খোঁজেন। ২৪ ঈশ্বর আত্মা; যারা তাঁর উপাসনা করে, আত্মায় ও সত্যে তাদের সেই উপাসনা করতে হবে।”
” ২৫ তখন সেই স্ত্রীলোকটি বলল, “আমি জানি, মশীহ, যাঁকে খ্রীষ্ট বলা হয়, তিনি আসছেন। তিনি যখন আসবেন তখন সবই আমাদের জানাবেন।” ২৬ যীশু তাকে বললেন, “আমিই তিনি, যিনি তোমার সংগে কথা বলছেন।” ৩৯ যে স্ত্রীলোকটি এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছিল যে, সে যা করেছে সবই তিনি তাকে বলে দিয়েছেন, তার কথা শুনে সেই গ্রামের অনেক শমরীয় যীশুর উপর বিশ্বাস করল। ৪০ তারা যীশুর কাছে গিয়ে তাঁকে তাদের সংগে থাকতে অনুরোধ করল। সেইজন্য যীশু সেখানে দু’দিন থাকলেন।”
৪১ তখন তাঁর কথা শুনে আরও অনেক লোক বিশ্বাস করল। ৪২ সেই স্ত্রীলোকটিকে তারা বলল, “এখন যে আমরা বিশ্বাস করছি তা তোমার কথাতে নয়, কিন্তু আমরা নিজেরাই তাঁর কথা শুনে বুঝতে পেরেছি যে, উনি সত্যিই মানুষের উদ্ধারকর্তা।”
আজকের পাঠ শেষ হলে পর নিচের বোতামটিতে ক্লিক করুন
আমার পাঠ করা শেষ হয়েছে