.--- layout: page ---
“পীলাতের সামনে বিচার ২৮ যিহূদী নেতারা ভোর বেলায় যীশুকে কাইয়াফার কাছ থেকে রোমীয় প্রধান শাসনকর্তা পীলাতের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন। তাঁরা কিন্তু সেই বাড়ীর ভিতরে ঢুকলেন না যেন শুচি থেকে উদ্ধার-পর্বের ভোজ খেতে পারেন। ২৯ তখন পীলাত বাইরে তাঁদের কাছে এসে বললেন, “এই লোকটিকে তোমরা কি দোষে দোষী করছ?” ৩০ যিহূদী নেতারা বললেন, “এ যদি মন্দ কাজ না করত তবে আমরা তাকে আপনার কাছে আনতাম না।” ৩১ পীলাত তাঁদের বললেন, “একে তোমরা নিয়ে গিয়ে তোমাদের আইন- কানুন মতে বিচার কর।””
“এতে যিহূদী নেতারা পীলাতকে বললেন, “কিন্তু কাউকে মৃত্যুর শাস্তি দেবার ক্ষমতা তো আমাদের হাতে নেই।” ৩২ কিভাবে নিজের মৃত্যু হবে যীশু আগেই তা বলেছিলেন। এটা ঘটল যাতে তাঁর সেই কথা পূর্ণ হয়। ৩৩ তখন পীলাত আবার বাড়ীর মধ্যে ঢুকলেন এবং যীশুকে ডেকে বললেন, “তুমিই কি যিহূদীদের রাজা?” ৩৪ যীশু বললেন, “আপনি কি নিজে থেকেই এই কথা বলছেন, না অন্যেরা আমার বিষয়ে আপনাকে বলেছে?” ৩৫ পীলাত উত্তর দিলেন, “আমি কি যিহূদী? তোমার জাতির লোকেরা আর প্রধান পুরোহিতেরা তোমাকে আমার হাতে দিয়েছে। তুমি কি করেছ?””
“৩৬ যীশু বললেন, “আমার রাজ্য এই জগতের নয়। যদি আমার রাজ্য এই জগতের হত তবে আমি যাতে যিহূদী নেতাদের হাতে না পড়ি সেইজন্য আমার লোকেরা যুদ্ধ করত; কিন্তু আমার রাজ্য তো এখানকার নয়।” ৩৭ পীলাত যীশুকে বললেন, “তাহলে তুমি কি রাজা?” যীশু বললেন, “আপনি ঠিকই বলেছেন যে, আমি রাজা। সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দেবার জন্য আমি জন্মেছি আর সেইজন্যই আমি জগতে এসেছি। যে কেউ সত্যের সে আমার কথা শোনে।””
৩৮ পীলাত তাঁকে বললেন, “সত্য কি?” এই কথা বলে তিনি আবার বাইরে যিহূদী নেতাদের কাছে গিয়ে বললেন, “আমি এর কোনই দোষ দেখতে পাচ্ছি না। ৩৯ তবে তোমাদের একটা নিয়ম আছে, উদ্ধার-পর্বের সময়ে আমি তোমাদের একজন কয়েদীকে ছেড়ে দিই। তোমরা কি চাও যে, আমি যিহূদীদের রাজাকে ছেড়ে দিই?” ৪০ এতে সকলে চেঁচিয়ে বলল, “ওকে নয়, বারাব্বাকে।” সেই বারাব্বা একজন ডাকাত ছিল। ১৯ :১ - তখন পীলাত যীশুকে নিয়ে গিয়ে ভীষণ ভাবে চাবুক মারবার আদেশ দিলেন। ২ সৈন্যেরা কাঁটা-লতা দিয়ে একটা মুকুট গেঁথে যীশুর মাথায় পরিয়ে দিল। ৩ পরে তাঁকে বেগুনে কাপড় পরাল এবং তাঁর কাছে গিয়ে বলল, “ওহে যিহূদী-রাজ, জয় হোক!” এই বলে সৈন্যেরা তাঁকে চড় মারতে লাগল।
৪ পীলাত আবার বাইরে এসে লোকদের বললেন, “দেখ, আমি ওকে তোমাদের কাছে বের করে আনছি যাতে তোমরা বুঝতে পার যে, আমি ওর কোন দোষই পাচ্ছি না।” ৫ যীশু সেই কাঁটার মুকুট আর বেগুনে কাপড় পরা অবস্থায় বাইরে আসলেন। তখন পীলাত লোকদের বললেন, “এই দেখ, সেই লোক।” ৬ যীশুকে দেখে প্রধান পুরোহিতেরা আর কর্মচারীরা চেঁচিয়ে বললেন, “ক্রুশে দিন, ওকে ক্রুশে দিন।” পীলাত লোকদের বললেন, “তোমরাই ওকে নিয়ে গিয়ে ক্রুশে দাও, কারণ আমি ওর কোন দোষই দেখতে পাচ্ছি না।”
“৭ যিহূদী নেতারা পীলাতকে বললেন, “আমাদের একটা আইন আছে, সেই আইন মতে তার মৃত্যু হওয়া উচিত, কারণ সে নিজেকে ঈশ্বরের পুত্র বলেছে।” ৮ পীলাত যখন এই কথা শুনলেন তখন তিনি আরও ভয় পেলেন। ৯ তিনি আবার বাড়ীর মধ্যে গিয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কোথা থেকে এসেছ?” যীশু কিন্তু পীলাতকে কোন উত্তর দিলেন না। ১০ এইজন্য পীলাত যীশুকে বললেন, “তুমি কি আমার সংগে কথা বলবে না? তুমি কি জান যে, তোমাকে ছেড়ে দেবার বা ক্রুশে দেবার ক্ষমতা আমার আছে?” “
১১ যীশু উত্তর দিলেন, “উপর থেকে আপনাকে ক্ষমতা দেওয়া না হলে আমার উপরে আপনার কোন ক্ষমতাই থাকত না। সেইজন্য যে আমাকে আপনার হাতে দিয়েছে তারই পাপ বেশী।” ১২ এই কথা শুনে পীলাত যীশুকে ছেড়ে দেবার চেষ্টা করতে লাগলেন, কিন্তু যিহূদী নেতারা চেঁচিয়ে বললেন, “আপনি যদি এই লোকটাকে ছেড়ে দেন তবে আপনি সম্রাট কৈসরের বন্ধু নন। যে কেউ নিজেকে রাজা বলে দাবি করে সে তো সম্রাট কৈসরের শত্রু।” ১৩ এই কথা শুনে পীলাত যীশুকে বাইরে আনলেন এবং পাথরে বাঁধানো নামে একটা জায়গায় বিচারের আসনে বসলেন। ইব্রীয় ভাষায় সেই জায়গাটাকে গাব্বাথা বলা হত।
১৪ সেই দিনটা ছিল উদ্ধার-পর্বের আয়োজনের দিন। তখন বেলা প্রায় দুপুর। পীলাত যিহূদী নেতাদের বললেন, “এই দেখ, তোমাদের রাজা।” ১৫ এতে তাঁরা চিৎকার করে বললেন, “দূর করুন, দূর করুন! ওকে ক্রুশে দিন!” পীলাত তাঁদের বললেন, “তোমাদের রাজাকে কি আমি ক্রুশে দেব?” প্রধান পুরোহিতেরা উত্তর দিলেন, “সম্রাট কৈসর ছাড়া আমাদের আর কোন রাজা নেই।” ১৬ তখন পীলাত যীশুকে ক্রুশে দেবার জন্য তাঁদের হাতে দিয়ে দিলেন।
আজকের পাঠ শেষ হলে পর নিচের বোতামটিতে ক্লিক করুন
আমার পাঠ করা শেষ হয়েছে