.--- layout: page ---
৩৬ সেই শিষ্যেরা যখন এই কথা বলছিলেন তখন যীশু নিজে তাঁদের মধ্যে এসে দাঁড়িয়ে তাঁদের সবাইকে বললেন, “তোমাদের শান্তি হোক।” ৩৭ তাঁরা ভূত দেখছেন ভেবে খুব ভয় পেলেন। ৩৮ যীশু তাঁদের বললেন, “কেন তোমরা অস্থির হচ্ছ আর কেনই বা তোমাদের মনে সন্দেহ জাগছে? ৩৯ আমার হাত ও পা দেখ। দেখ, এ আমি। আমাকে ছুঁয়ে দেখ, কারণ ভূতের তো আমার মত হাড়-মাংস নেই।”
৪০ এই কথা বলে যীশু তাঁর হাত ও পা তাঁদের দেখালেন। ৪১ কিন্তু তাঁরা এত আশ্চর্য ও আনন্দিত হয়েছিলেন যে, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। তখন যীশু তাঁদের বললেন, “তোমাদের এখানে কি কোন খাবার আছে?”
৪২ তাঁরা তাঁকে এক টুকরা ভাজা মাছ দিলেন। ৪৩ তিনি তা নিয়ে তাঁদের সামনেই খেলেন। ৪৪ তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমি যখন তোমাদের সংগে ছিলাম তখন বলেছিলাম, মোশির আইন-কানুনে, নবীদের লেখায় ও গীতসংহিতার মধ্যে আমার বিষয়ে যে যে কথা লেখা আছে তার সব পূর্ণ হতেই হবে।” ৪৫-৪৬ পবিত্র শাস্ত্র বুঝবার জন্য তিনি শিষ্যদের বুদ্ধি খুলে দিলেন এবং তাঁদের বললেন, “লেখা আছে, মশীহকে কষ্ট ভোগ করতে হবে এবং তিন দিনের দিন মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠতে হবে।
৪৭ আরও লেখা আছে, যিরূশালেম থেকে আরম্ভ করে সমস্ত জাতির কাছে মশীহের নামে এই খবর প্রচার করা হবে যে, পাপ থেকে মন ফিরালে পাপের ক্ষমা পাওয়া যায়। ৪৮ তোমরাই এই সমস্ত বিষয়ের সাক্ষী। ৪৯ দেখ, আমার পিতা যা দেবার প্রতিজ্ঞা করেছেন তা আমি তোমাদের কাছে পাঠিয়ে দেব। স্বর্গ থেকে শক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তোমরা এই শহরেই থেকো।”
প্রভু যীশু স্বর্গে গেলেন ৫০ পরে যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে বৈথনিয়া পর্যন্ত গেলেন। সেখানে তিনি হাত তুলে তাঁদের আশীর্বাদ করলেন। ৫১ আশীর্বাদ করতে করতেই তিনি তাঁদের ছেড়ে গেলেন এবং তাঁকে স্বর্গে তুলে নেওয়া হল। ৫২ তখন তাঁরা উবুড় হয়ে প্রণাম করে তাঁকে ঈশ্বরের সম্মান দিলেন এবং খুব আনন্দের সংগে যিরূশালেমে ফিরে গেলেন। ৫৩ তাঁরা সব সময় উপাসনা-ঘরে উপস্থিত থেকে ঈশ্বরের গৌরব করতে লাগলেন।
আজকের পাঠ শেষ হলে পর নিচের বোতামটিতে ক্লিক করুন
আমার পাঠ করা শেষ হয়েছে