.--- layout: page ---
“১৮ যীশু বললেন, “শহরের মধ্যে গিয়ে ঐ লোককে বল যে, গুরু বলছেন, ‘আমার সময় কাছে এসে গেছে। আমার শিষ্যদের সংগে আমি তোমার বাড়ীতেই উদ্ধার-পর্ব পালন করব।’ ”১৯ যীশু শিষ্যদের যে আদেশ দিয়েছিলেন শিষ্যেরা সেইভাবেই উদ্ধার-পর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন। ২০ পরে সন্ধ্যা হলে যীশু সেই বারোজন শিষ্যকে নিয়ে খেতে বসলেন। ২১ খাবার সময়ে তিনি বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমাকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেবে।” ২২ এতে শিষ্যেরা খুব দুঃখিত হয়ে একজনের পর একজন যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে লাগলেন, “সে কি আমি, প্রভু?” ২৩ উত্তরে তিনি তাঁদের বললেন, “যে আমার সংগে পাত্রের মধ্যে হাত দিচ্ছে সে-ই আমাকে ধরিয়ে দেবে। “
“২৪ মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে যেভাবে লেখা আছে ঠিক সেইভাবে তিনি মারা যাবেন বটে, কিন্তু হায় সেই লোক, যে মনুষ্যপুত্রকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দেয়! সেই মানুষের জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভাল হত।” ২৫ যে যীশুকে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিতে যাচ্ছিল সেই যিহূদা বলল, “গুরু, সে কি আমি?” যীশু তাকে বললেন, “তুমি ঠিক কথাই বললে।””
“২৬ খাওয়া-দাওয়া চলছে, এমন সময় যীশু রুটি নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন। পরে তিনি সেই রুটি টুকরা টুকরা করলেন এবং শিষ্যদের দিয়ে বললেন, “এই নাও, খাও; এ আমার দেহ।” ২৭ এর পরে তিনি পেয়ালা নিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলেন ও সেটা শিষ্যদের দিয়ে বললেন, “পেয়ালার এই আংগুর-রস তোমরা সবাই খাও, ২৮ কারণ এ আমার রক্ত যা অনেকের পাপের ক্ষমার জন্য দেওয়া হবে। মানুষের জন্য ঈশ্বরের নতুন ব্যবস্থা আমার এই রক্তের দ্বারাই বহাল করা হবে।”
“২৯ আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে যতদিন আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সংগে আংগুর ফলের রস নতুন ভাবে না খাই ততদিন পর্যন্ত আমি আর তা খাব না।” ৩০ পরে তাঁরা একটা গান গেয়ে বের হয়ে জৈতুন পাহাড়ে গেলেন।”
আজকের পাঠ শেষ হলে পর নিচের বোতামটিতে ক্লিক করুন
আমার পাঠ করা শেষ হয়েছে