.--- layout: page --- Welcome

বাইবেল পাঠে স্বাগতম

যোহন ১৮:১-২৭

“শত্রুদের হাতে প্রভু যীশু ১ এই সব কথা বলবার পরে যীশু তাঁর শিষ্যদের সংগে কিদ্রোণ নামে একটা উপত্যকার ওপাশে গেলেন। সেখানে একটা বাগান ছিল। যীশু আর তাঁর শিষ্যেরা সেই বাগানে গেলেন। ২ যীশুকে শত্রুদের হাতে যে পরে ধরিয়ে দিয়েছিল সেই যিহূদাও এই জায়গাটা চিনত, কারণ যীশু প্রায়ই তাঁর শিষ্যদের সংগে সেখানে এক সংগে মিলিত হতেন। ৩ প্রধান পুরোহিতেরা ও ফরীশীরা যিহূদাকে এক দল সৈন্য এবং কয়েকজন কর্মচারী দিলেন। তখন যিহূদা তাদের সংগে বাতি, মশাল আর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত হল।”

“৪ তাঁর নিজের উপর যা ঘটবে যীশু তা সবই জানতেন। এইজন্য তিনি বের হয়ে এসে সেই লোকদের বললেন, “আপনারা কাকে খুঁজছেন?” ৫ তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।” যীশু তাদের বললেন, “আমিই সেই।” যীশুকে যে শত্রুদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল সেই যিহূদাও তাদের সংগে দাঁড়িয়ে ছিল। ৬ যীশু যখন তাদের বললেন, “আমিই সেই,” তখন তারা পিছিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে গেল। ৭ যীশু আবার তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনারা কাকে খুঁজছেন?” তারা বলল, “নাসরতের যীশুকে।””

” ৮ তখন যীশু বললেন, “আমি তো আপনাদের বলেছি যে, আমিই সেই। যদি আপনারা আমারই খোঁজে এসে থাকেন তবে এদের চলে যেতে দিন।” ৯ এটা ঘটল যাতে যীশুর বলা এই কথাটা পূর্ণ হয়, “যাদের তুমি আমাকে দিয়েছ তাদের একজনকেও আমি হারাই নি।” ১০ শিমোন-পিতরের কাছে একটা ছোরা ছিল। পিতর সেই ছোরাটা বের করে তার আঘাতে মহাপুরোহিতের দাসের ডান কানটা কেটে ফেললেন। সেই দাসের নাম ছিল মল্ক। ১১ এতে যীশু পিতরকে বললেন, “তোমার ছোরা খাপে রাখ। পিতা আমাকে যে দুঃখের পেয়ালা দিয়েছেন তা কি আমি গ্রহণ করব না?””

“১২ তখন সেই সৈন্যেরা আর তাদের সেনাপতি ও যিহূদী নেতাদের কর্মচারীরা যীশুকে ধরে বাঁধল। ১৩ প্রথমে তারা যীশুকে হাননের কাছে নিয়ে গেল, কারণ যে কাইয়াফা সেই বছরের মহাপুরোহিত ছিলেন হানন ছিলেন তাঁর শ্বশুর। ১৪ এই কাইয়াফাই যিহূদী নেতাদের পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, গোটা জাতির বদলে বরং একজনের মৃত্যু হওয়াই ভাল। পিতরের প্রথম অস্বীকার ১৫ শিমোন-পিতর এবং আর একজন শিষ্য যীশুর পিছনে পিছনে গেলেন। সেই অন্য শিষ্যকে মহাপুরোহিত চিনতেন। সেই শিষ্য যীশুর সংগে সংগে মহাপুরোহিতের উঠানে ঢুকলেন, “

“১৬ কিন্তু পিতর বাইরে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে রইলেন। তখন মহাপুরোহিতের চেনা সেই শিষ্য বাইরে গিয়ে দরজার পাহারাদার মেয়েটিকে বলে পিতরকে ভিতরে আনলেন। ১৭ সেই মেয়েটি পিতরকে বলল, “তুমিও কি এই লোকটির শিষ্যদের মধ্যে একজন?” পিতর বললেন, “না, আমি নই।” ১৮ তখন বেশ শীত পড়েছিল। এইজন্য দাসেরা এবং কর্মচারীরা কাঠকয়লার আগুন জ্বেলে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিল। পিতরও তাদের সংগে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন।”

“মহাপুরোহিতের জেরা ১৯ মহাপুরোহিত তখন যীশুকে তাঁর শিষ্যদের বিষয়ে আর তাঁর শিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন। ২০ যীশু উত্তরে বললেন, “আমি লোকদের কাছে খোলাখুলিভাবেই কথা বলেছি। যেখানে যিহূদীরা সবাই এক সংগে মিলিত হয় সেই সব সমাজ-ঘরে ও উপাসনা-ঘরে আমি সব সময় শিক্ষা দিয়েছি। আমি তো গোপনে কিছু বলি নি; ২১ তবে কেন আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন? আমার কথা যারা শুনেছে তাদেরই জিজ্ঞাসা করুন আমি তাদের কি বলেছি। আমি যা বলেছি তা তাদের অজানা নেই।”

“২২ যীশু যখন এই কথা বললেন তখন যে কর্মচারীরা কাছে দাঁড়িয়ে ছিল তাদের মধ্যে একজন তাঁকে চড় মেরে বলল, “তুমি মহাপুরোহিতকে এইভাবে উত্তর দিচ্ছ?” ২৩ যীশু তাকে বললেন, “আমি যদি মন্দ কিছু বলে থাকি তবে তা দেখিয়ে দিন। কিন্তু যদি ভাল বলে থাকি তবে কেন আমাকে মারছেন?” ২৪ তখন হানন যীশুকে বাঁধা অবস্থায়ই মহাপুরোহিত কাইয়াফার কাছে পাঠিয়ে দিলেন।”

“পিতরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় অস্বীকার ২৫ যখন শিমোন-পিতর দাঁড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন তখন লোকেরা তাঁকে বলল, “তুমিও কি ওর শিষ্যদের মধ্যে একজন?” পিতর অস্বীকার করে বললেন, “না, আমি নই।” ২৬ পিতর যার কান কেটে ফেলেছিলেন তার এক আত্মীয় মহাপুরোহিতের দাস ছিল। সে বলল, “আমি কি তোমাকে বাগানে তার সংগে দেখি নি?” ২৭ পিতর আবার অস্বীকার করলেন, আর তখনই একটা মোরগ ডেকে উঠল।”


আজকের পাঠ শেষ হলে পর নিচের বোতামটিতে ক্লিক করুন

আমার পাঠ করা শেষ হয়েছে